বঙ্গ ডেস্কঃ 22 July 2020 , 2:33:57 প্রিন্ট সংস্করণ
দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা সংস্কার না করা ও এবার প্রবল বৃষ্টিপাতে কারণে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ৩নং বকুয়া ইউনিয়নের পীরের হাট থেকে চড়ভিটা গ্রাম পর্যন্ত ১.৫০ কি. মি. ও চড়ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সিংহাড়ী পর্যন্ত ১.৫০ কি. মি. কাঁচা রাস্তা যানবহান ও সাধারন মানুষ চলাচলের জন্য একেবারেই অযোগ্য হয়ে পড়ে। এই অযোগ্য রাস্তা দিয়েই কষ্টের মধ্যে সাধারণ মানুষ ও যান-বহান চলাচল করতে থাকে। সাধারণ মানুষের চলাচলের কষ্টের বিষয়টি চড়ভিটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এরফান আলীর নজরে আসলে তিনি নিজ অথ্যায়নে ইটের টুকরা (রাবিস) ও মাটি দিয়ে রাস্তাটি সংস্কার করে দেন। তিনি ৩নং বকুয়া ইউনিয়নের পীরের হাট থেকে চড়ভিটা এবং চড়ভিটা সরকারি বিদ্যালয় থেকে সিংহাড়ী পর্যন্ত প্রায় ৩ কি. মি. নিজ অর্থ্যায়নের সংস্কার করেন । স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সরকারিভারে এই রাস্তাগুলো কোন সংস্কার না করার কারণে বর্ষা মৌসুমে সাধারন মানুষ, স্কুল-কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন ধরণের যান-বহান চলাচলে চরম দুর্ভোগ পৌহাতে হতে হয়। এবার প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে এই রাস্তা গুলো একেবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষ ও স্কুল-কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দপ্তরে জানানো হলেও কেউ রাস্তাটি সংস্কার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন নাই। সাধারন মানুষ, স্কুল-কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন ধরণের যান-বহান চলাচলে চরম দুর্ভোগ এর বিষয়টি প্রধান শিক্ষক এরফান আলীর নজরে আসলে তিনি নিজ অর্থ্যায়নে প্রায় ৩ কি. মি. রাস্তা সংস্কার করে আমাদের চলাচলের উপযোগী করে দেন। তার এই মহৎ উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। প্রধান শিক্ষক এরফান আলী বলেন, আমিও কৃষক পরিবারের ছেলে। কৃষি পণ্য বেচা-কেনার জন্য এই রাস্তা দিয়েই যাদুরানী হাট যেতে হয়। বর্ষার সময়ে বৃষ্টির পানিতে আমাদের কাঁচা রাস্তাগুলো চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়ে। আর এবার প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে একেবারেই যানবহান ও মানুষ চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তাই আমি মানুষ ও স্কুল-কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীদের কষ্টের কথা ভেবে প্রায় ৩ কি. মি. রাস্তা ইটের গুড়া (রাবিস) ও মাটি দিয়ে রাস্তা সংস্কারের ব্যবস্থা করেছি। কিছুটা হলেও সাধারণ মানুষের চলাচলে সুবিধা ভোগ করবে