মোস্তাক আহমেদ,কাউনিয়া(রংপুর) প্রতিনিধিঃ 20 August 2020 , 10:49:11 প্রিন্ট সংস্করণ
বিচার পেয়ে খুশি ২০০৪ সালে
২১আগষ্ট ঢাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লাীগের জনসভায়
গ্রেনেড হামলায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মীনী
আইভি রহমানসহ যে ২২জন নেতাকর্মী নিহত হন সেই গ্রেনেড
হামলার বিচার পেয়ে খুশি রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার নিহত রিজিয়া
বেগমের পরিবারের সদস্যরা। মায়ের জন্য আজও ওদের মোন কাঁদে। তবে
তাদের অভিযোগ এখন আর কেউ তাদের খবর রাখেনা।
প্রধানমন্ত্রীর অনুদান পেয়েও অর্থ অভাবে বিনাচিকিৎসায় মারা
গেছেন রিজিয়ার বৃদ্ধ পিতা। রিজিয়ার পারিবারিক সুত্রে জানা
গেছে, ঢাকার আগারগাঁও পাসর্পোট অফিসে ফুটফরমায়েশ খেটে
রিজিয়া বেগম (৩৫) বাবা-মা আর দু’সন্তানসহ পাঁচ জনের সংসার
মোটামুটি ভালই চলছিলো। নিহত রিজিয়া বেগম প্রতিদিনের মত
অফিসের কাজ সেরে ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ
হাসিনার জনসভা স্থলে এসে ট্রাক মঞ্চের কাছাকাছি দাঁড়ায় তার
প্রিয় নেত্রীর দু’টি কথা শুনতে এবং কাছে থেকে তাঁকে একনজর দেখতে।
কিন্তু কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই গ্রেনেডের প্স্রিন্ডার এসে তার
শরীর ক্ষত-বিক্ষত করে দেয় তখনেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। পরে
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নাকের ফুল ও মাথায় সাদা ওড়না
জড়ানো দেখে আওয়ামীলীগের দু’জন কর্মী ও তার ছোট ছেলে নুরনবী
নিহত রিজিয়াকে শনাক্ত করে। রিজিয়ার বাড়ী কাউনিয়া উপজেলার
বালাপাড়া ইউনিয়নের গঙ্গানারায়ণ গ্রামে। গ্রামে তার লাশ দাফনের
কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তাকে আজিমপুর কবর স্থানে দাফন করা হয়েছে।
সম্প্রতি রিজিয়ার বাড়ীতে গিয়ে জানা যায়, তার বৃদ্ধ পিতা আফাজ
উদ্দিন দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ১০২ বছর বয়সে অনেকটা বিনা
চিকিৎসায় তিন বছর আগে মৃত্যু বরণ করেন। সাংবাদিক পরিচয় দিলে
তার ছোট বোন আনোয়ারা বেগম বেড়িয়ে এসে জানান, রিজিয়া
নিহত হওয়ার পর আওয়ামীলীগ সভানেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার দেয়া এক লাখ টাকায় তিনি কাউনিয়ায় গঙ্গাণারায়ন
গ্রামে ২৫ শতক জমি কিনেছেন এবং সামান্য কিছু টাকা শেষ সম্বল
হিসেবে ব্যাংকে রেখেছিলেন সে টাকাও বৃদ্ধ আফাজ উদ্দিনের
চিকিৎসার করাতে শেষ হয়েছে। হারুন ও নুর নবী নামের তার দুইটি পুত্র
সন্তান আছে। রিজিয়ার ছোট ছেলে নুরনবী জানায়, তার মাকে নিয়ে
তাদের গর্ব হয়। তিনি জানান এরপর কয়েক বছর আগে প্রধানমন্ত্রীর
অনুদান হিসেবে ৮ লাখ টাকা পেয়েছে। সেই টাকা দিয়ে কিছু আবাদি জমি কিনেছে বাকি টাকা ব্যাংকে জমা আছে। তাদের দুঃখ
করোনা দুর্যোগেও এখন আর কেউ তাদের খবর রাখেনা।